আপনি যদি বোঝেন, তাহলে আপনি কান কথায় প্রভাবিত হবেন না। যখন কেউ কোনো কথা বলতে আসবে কেন সে ইনফরমেশনটা দিচ্ছে, আপনি এটা চিন্তা করবেন। যেমন, আমাকে যে-কেউ যে-কোনো কথা বলুক আমি খুব মনোযোগ দিয়ে শুনি। শোনার পরে চিন্তা করি যে এই কথাটা সে কেন আমাকে বলল? কী কারণে বলল? হোয়াই?
আমরা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হই কানকথায়।
ধরুন একজন মানুষ আপনার আরেকজন পরিচিত মানুষ সম্পর্কে একটা কথা বলল- “হ্যাঁ বুঝলেন, কীভাবে যে আপনার কথা ওঠার সাথে সাথে মুখটা ভেংচি দিল। বুঝছেন। এই এই কথা বলেছে, এই কথা বলেছে।” সেই কথাগুলো কিন্তু আবার আস্তে বলে। আশেপাশে কেউ নাই। আগের কথাগুলো জোরে বলেছিল কিন্তু এই কথাটা সে আবার আস্তে বলে।
এখন আপনি বুদ্ধিমান হলে প্রথম চিন্তা করবেন যে এই লোকটা এই ইনফরমেশনটা আমাকে কেন দিচ্ছে! হোয়াই! এতে তার ইন্টারেস্টটা কী? হতে পারে সে আপনাকে খুব ভালবাসে। সে আপনার বিরুদ্ধে কথা হয়েছে, এটা শুনে আর স্থির থাকতে পারে নাই। আপনার কাছে দৌড়ে আসছে। এক নম্বর পয়েন্ট।
আমি ভালো থেকে শুরু করছি।
দুই নম্বর হতে পারে- আপনি তাকে পছন্দ করেন না, তার ব্যাপারে এই কথাটা যদি আপনার কাছে এসে বলে, তাহলে আপনার মনে তার সম্পর্কে একটা সফট কর্নার সৃষ্টি হবে যে আহারে এরকম একটা ইনফরমেশন আমাকে দিয়ে গেল।
তিন হতে পারে- যে এই কথাটা যে সে বলল, এই কথাটা শুনলে আপনাদের মধ্যে যেহেতু সুসম্পর্ক আছে, তার সম্পর্কে আপনার খারাপ ধারণা সৃষ্টি হবে এবং তাকে সাইজ করা সহজ হবে।
চার নম্বর তার অভ্যাসই হচ্ছে ‘কথা লাগানো’। আপনাকে বলার পরে আপনি কী বলেন, এটা আবার তার কাছে গিয়ে বলা। এবং ৯৯% ক্ষেত্রে কেউ যখন কারো বিরুদ্ধে আপনাকে তথ্য দেয়, আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন, আপনার ব্যাপারেও সে তাকে তথ্য দেবে।
এখন উদ্দেশ্যটা যদি বুঝতে পারেন, যে কী উদ্দেশ্যে সে এই কথাটা বলল, তখন আপনি কারেক্ট ডিসিশন নিতে পারবেন যে আপনার রি-একশন কী হবে। এর প্রেক্ষাপটে আপনি কী করবেন। রি-এক্ট করবেন, না হাসবেন, না চুপচাপ থাকবেন।
আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যদি আপনি বুঝতে পারেন এর পারপাসটা কী।
এই কথাটা বলার পেছনে তার উদ্দেশ্যটা কী?
কী উদ্দেশ্যে সে এই তথ্য দিল। এটা হচ্ছে অন্তর্দৃষ্টি।
[প্রজ্ঞা জালালি, ০৩ জুলাই, ২০১৯]