ঘটনাবলি
১৭৯০ : আমেরিকায় প্রথম কটন মিল চালু হয়।
১৯২৫ : বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদ স্থাপিত হয়।
১৯৫৭ : সানফ্রান্সিসকো চলচ্চিত্র উৎসবে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘পথের পাঁচালী’ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করে।
১৯৭৪ : পর্তুগাল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দান করে।
জন্ম
১৮৬৬ : পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙালি সাংবাদিক ও সম্পাদক।
১৮৯০ : জারস্লাভ হেয়রভসকয়, নোবেলজয়ী চেক রসায়নবিদ ও অধ্যাপক।
১৯১৯ : খালেদ চৌধুরী, বাংলার প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব।
মৃত্যু
১৯১৫ : বাঙালি শিশুসাহিত্যিক, বাংলা মুদ্রণের পথিকৃৎ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী।
১৯৭৪ : প্রখ্যাত বাঙালি লেখিকা সীতা দেবী।
১৯৭৯ : বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী কমলা ঝরিয়া।
১৯৯০ : বাংলাদেশি সঙ্গীতশিল্পী মাহমুদুন্নবী।
১৯৯৬ : বিখ্যাত মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্ল সেগান।
১৯৯৮ : নোবেলজয়ী ইংরেজ শারীরবিজ্ঞানী ও জৈবপদার্থবিদ অ্যালেন লয়েড হডজিকিন।
২০০৯ : রাগপ্রধান গানের প্রথম মহিলা বাঙালি শিল্পী, দীপালি নাগ।
২০১৪ : বাংলাদেশি জিনতত্ত্ববিদ, পেঁপে, রাবার, পাট এবং ছত্রাক জিনোম উদ্ভাবক মাকসুদুল আলম।
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ছিলেন লেখক, চিত্রশিল্পী ও বাংলা মুদ্রণশিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ। তাঁর পারিবারিক নাম ছিল কামদারঞ্জন। পাঁচ বছরের কম বয়সে তাঁর বাবার আত্মীয় জমিদার হরিকিশোর রায়চৌধুরী তাঁকে দত্তক নেন এবং নতুন নাম দেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। শখের জ্যোতির্বিদ, বেহালাবাদক ও সুরকারও ছিলেন তিনি। বিখ্যাত ‘সন্দেশ’ পত্রিকা তিনিই প্রথম শুরু করেন, যা পরে তাঁর পুত্র সুকুমার রায় ও পৌত্র সত্যজিৎ রায় সম্পাদনা করেন।
জন্মগ্রহণ করেন ১৮৬৩ সালের ১০ মে কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার সমূয়া গ্রামের বনেদি রায় পরিবারে। তাঁর বাবা কালীনাথ রায়চৌধুরী ওরফে শ্যামসুন্দর মুন্সী সংস্কৃতে পাণ্ডিত্যের জন্যে পরিচিত ছিলেন।
তিনি ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে ১৮৮০ সালে বৃত্তি নিয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাস করেন। স্কুলজীবনেই তিনি চিত্রাঙ্কনে দক্ষতা অর্জন করেন। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে কিছুকাল অধ্যয়নের পর কলকাতা মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন এবং ১৮৮৪ সালে সেখান থেকে বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এ সময় তিনি ব্রাহ্মসমাজে যোগ দেন। ২৩ বছর বয়সে দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
ছোটদের জন্যে তিনি অনেক লেখা উপহার দিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে রয়েছে ‘ছোটদের রামায়ণ’, ‘সেকালের কথা’, ‘ছোটদের মহাভারত’, ‘মহাভারতের গল্প’, ‘বিবিধ প্রবন্ধ’, ‘গল্পমালা’, ‘ছড়া-কবিতা-গান’ ইত্যাদি। স্বরচিত বইগুলোতে নিজের আঁকা ছবি ছিল তার বইয়ের অন্যতম আকর্ষণ। ‘বলরামের দেহত্যাগ’ তার আঁকা বিখ্যাত চিত্র। নানা রঙের হাফটোন ছবি ছাপার প্রযুক্তিতে যে উৎকর্ষ হয়েছে, তার পেছনে উপেন্দ্রকিশোরের অবদান রয়েছে। গবেষণা করে তিনি নানা রকম ডায়াফ্রাম, রি-স্ক্রিন ও অ্যাডজাস্টার যন্ত্র নির্মাণ করেন। ডায়োটাইপ ও রে-প্রিন্ট পদ্ধতি তার উদ্ভাবিত।
উপেন্দ্রকিশোর ১৯১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: সংগৃহীত