বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক, শিশুসাহিত্যিক ও সমাজ সেবক মোহাম্মদ মোদাব্বের
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ২৭৯ তম (অধিবর্ষে ২৮০ তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।
১৭৬৯ : ক্যাপটেন কুক নিউজিল্যান্ডে পদার্পণ করেন।
১৯৭৩ : বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ক্যামেরুন।
১৮৩১ : রিচার্ড ডেডেকিন্ট, জার্মান গণিতবিদ।
১৮৯৩ : মেঘনাদ সাহা, বাঙালি জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯০৩ : আর্নেস্ট টমাস সিন্টন ওয়াল্টন, নোবেলজয়ী আইরিশ পদার্থবিদ ও অধ্যাপক।
১৯০৮ : মোহাম্মদ মোদাব্বের, বাংলাদেশি সাংবাদিক, শিশুসাহিত্যিক ও বিশিষ্ট সমাজসেবক।
১৯৩১ : নিকলাই চের্নিখ, রুশ বংশোদ্ভূত সোভিয়েত জ্যোতির্বিজ্ঞানী।
১৯৩৩ : অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত, ভারতীয় বাঙালি কবি।
১৯৫১ : নোবেলবিজয়ী জার্মান বংশোদ্ভূত আমেরিকান চিকিৎসক ও বায়োকেমিস্ট অট্টো ফ্রিটজ মেয়ারহফ।
২০২০ : সর্বকালের সেরা গিটারিস্ট এডি ভ্যান হ্যালেন।
মোহাম্মদ মোদাব্বের ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক, শিশুসাহিত্যিক ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক। শিশুসাহিত্যে অবদানের জন্যে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন এবং সাংবাদিকতায় অবদানের জন্যে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৮ সালের ৬ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণা জেলার বশিরহাট মহকুমার হাড়োয়া গ্রামে। ১৯২২ সালে স্যার আর.এন. মুখার্জী বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে পাস করেন।
মোহাম্মদ মোদাব্বের ১৯২৮ থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত সাপ্তাহিক ও দৈনিক দ্য মুসলমান পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। ১৯৩৩ সালে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ফরওয়ার্ড পত্রিকায় কাজ করেন। ১৯৩৫ সালে সাপ্তাহিক মোহাম্মাদীতে যোগদান করেন এবং ১৯৩৬ সালে দৈনিক আজাদ পত্রিকায় বার্তা সম্পাদক নিযুক্ত হন।
১৯৪৮ সালে দৈনিক ইত্তেহাদে যোগদান করেন। ১৯৪৯ সালের ১৫ আগস্ট তিনি ঢাকায় নিজের সম্পাদনায় তিনি পাকিস্তান নামে একটি অর্ধ সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করেন। এটি ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছিল।
১৯৫১ সালের ডিসেম্বরে দৈনিক মিল্লাত প্রকাশিত হলে তিনি তার প্রধান সম্পাদক নিযুক্ত হন। এছাড়া ১৯৫৮ সালে তিনি পাকিস্তান রেডক্রস পরিচালিত মাসিক জুনিয়র রেডক্রস পত্রিকার সম্পাদক নিযুক্ত হন। তিনি ছিলেন ঢাকা থেকে প্রকাশিত মাসিক মুকুলের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য।
মোহাম্মদ মোদাব্বের রচিত শিশুসাহিত্যের মধ্যে রয়েছে: হীরের ফুল, তাকডুমাডুম, মিসেস লতা সান্যাল ও আরও অনেকে, কিসসা শুনো, গল্প শুনো, ডানপিটের দল ইত্যাদি।
ভ্রমণ কাহিনির মধ্যে রয়েছে- জাপান ঘুরে এলাম, প্রবাল দ্বীপে; স্মৃতি কথা: সাংবাদিকের রোজনামচা, জীবনী: আনলো যারা জীয়ন কাঠি; সাধারণ জ্ঞান: সন্ধানী আলো ইত্যাদি। ১৯৬৫ সালে শিশুসাহিত্যে বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৯ সালে পান একুশে পদক।
১৯৮৪ সালের ২১ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: সংগৃহীত