বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজসেবী সুখলতা রাও ১৯৬৯ সালের ৯ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ১৯০তম (অধিবর্ষে ১৯১তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।
১৮৭৭ : উইম্বলডন টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়
২০১১ : সুদান থেকে পৃথক হয়ে যায় দক্ষিণ সুদান
১৭৮৬ : জার্মান ভাস্কর রুডলফ শ্যাডো
১৮১৯ : সেলাই মেশিনের মার্কিন উদ্ভাবক এলিয়াস হাউ
১৯২৫ : গুরু দত্ত নামে পরিচিত বসন্ত কুমার শিবশঙ্কর পাদুকোন, ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনেতা
১৯৫৬ : টম হ্যাংকস, মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা।
১৮৫০ : জ্যাকারি টেইলর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বাদশ রাষ্ট্রপতি
১৯১১ : প্রখ্যাত বাঙালি সাংবাদিক, লেখক ও হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক রায়বাহাদুর রাজকুমার সর্বাধিকারী
১৯৩৪ : দীনেশচন্দ্র মজুমদার, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী
১৯৬৯ : সুখলতা রাও, শিশু সাহিত্যিক
২০২০ : রঞ্জন ঘোষাল, ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী, গায়ক, গীতিকার, লেখক ও নাট্যব্যক্তিত্ব
সুখলতা রাও ছিলেন একজন বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজসেবী। তিনি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় সাহিত্যচর্চা করেন এবং বিশটির মতো গ্রন্থ রচনা করেন। তার শিশুতোষ গ্রন্থগুলো বিপুল প্রশংসা লাভ করে। চিত্রশিল্পী হিসেবেও তার খ্যাতি ছিল।
জন্মগ্রহণ করেন ১৮৮৬ সালের ২৩ অক্টোবর কলকাতার বিখ্যাত সাহিত্যিক পরিবারে। বাবা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ও ভ্রাতা সুকুমার রায় ছিলেন প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক এবং ভ্রাতুষ্পুত্র সত্যজিৎ রায় ছিলেন অস্কারবিজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা। পড়াশোনা করেন কলকাতার ব্রাহ্ম বালিকা বিদ্যালয় এবং বেথুন কলেজে। ১৯০৩ সালে বেথুন কলেজ থেকে ব্যচেলর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯০৭ সালে তিনি উড়িষ্যার জয়ন্ত রাওকে বিবাহ করেন ও স্বামীর সাথে কটক চলে যান। কটক যাওয়ার পর তিনি সেখানে ‘শিশু ও মাতৃমঙ্গল কেন্দ্র’, ‘উড়িষ্যা নারী সেবা সংঘ’ প্রভৃতি সামাজিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
সমাজসেবার পাশাপাশি তিনি বাংলা ও ইংরেজিতে আলোক নামে একটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেন।
সুখলতা বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় সাহিত্যচর্চা করেন। প্রায় ২০টি গ্রন্থ রচনা করেন। সুখলতা রচিত কয়েকটি গ্রন্থের মধ্যে- লালিভুলির দেশে, নিজে পড়, নিজে শেখ, গল্প আর গল্প, খোকা এলো বেড়িয়ে, নতুন পড়া, সোনার ময়ূর, নতুন ছড়া, বিদেশী ছড়া, নানান দেশের রূপকথা, পথের আলো, ঈশপের গল্প, হিতোপদেশের গল্প, New Steps, Living Lights ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
সুখলতা রাওয়ের নিজে পড় গ্রন্থটি শিশুসাহিত্য সংসদ কর্তৃক প্রকাশিত হয় এবং এজন্যে তিনি ‘লেখিকা’ পুরস্কার ও ভারত সরকারের ‘সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেন। এছাড়া তার আরও কয়েকটি গ্রন্থ পুরস্কৃত হয়। সমাজসেবায় অবদান রাখার জন্যে তিনি স্বামীর সঙ্গে যৌথভাবে ‘কাইজার-ই-হিন্দ’ পদক লাভ করেন।
১৯৬৯ সালের ৯ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: সংগৃহীত