১৭৯৫ : লিয়েবে দিযেফের উদ্যোগে বাংলার প্রথম মঞ্চনাটক ‘ছদ্মবেশী’ মঞ্চস্থ হয়।
১৮৩৭ : আইজাক পিটম্যানের শর্টহ্যান্ড পদ্ধতি প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৮৫৯ : প্রথম আধুনিক অলিম্পিক খেলা হয় গ্রিসের এথেন্সে।
১৯০৪ : জিলেট ব্লেড প্যাটেন্ট করেন সি জিলেট।
১৯২৬ : চব্বিশটি কেন্দ্র থেকে রেডিও এনবিসি’র সম্প্রচার শুরু।
১৯৮৪ : জার্মানির রাজধানী বার্লিনে আফ্রিকায় ইউরোপীয় উপনিবেশগুলোকে ভাগ-বণ্টন করা নিয়ে একটি সম্মেলন হয়েছিল। ইতিহাসে এই সম্মেলনটি বার্লিন সম্মেলন নামে পরিচিত।
১৯৯৭ : মুঠোফোন প্রতিষ্ঠান একটেল (বর্তমানে রবি) ঢাকায় সেবাদান কার্যক্রম শুরু করে।
১৭৩৮ : উইলিয়াম হার্শেল, জার্মান বংশোদ্ভুত ইংরেজ জ্যোতির্বিদ ও সুরকার।
১৮৬২ : গেরহার্ট হাউপ্টমান, জার্মান লেখক, কবি, নোবেলবিজয়ী নাট্যকার।
১৮৭৪ : আগস্ট ক্রোঘ, ডেনিশ প্রাণিবিজ্ঞানী ও শারীরবিজ্ঞানী, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।
১৮৭৫ : বিরসা মুন্ডা, ভারতের রাঁচি অঞ্চলের মুন্ডা আদিবাসী ও সমাজ সংস্কারক।
১৮৯১ : পশুপতি ভট্টাচার্য, খ্যাতনামা চিকিৎসক ও সাংবাদিক।
১৮৯৬ : রণদাপ্রসাদ সাহা, বাংলাদেশি সমাজসেবক এবং দানবীর ব্যক্তিত্ব।
১৬৩০ : জার্মান নক্ষত্রবিদ জোহান্নেস কেপলার।
১৮৫৬ : প্রথম শব ব্যবচ্ছেদকারী বাঙালি চিকিৎসক মধুসূদন গুপ্ত।
১৯২৩ : বাঙালি সাংবাদিক-সম্পাদক পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৭০ : প্রখ্যাত বাঙালি টপ্পাগায়ক কালীপদ পাঠক।
১৯৮৭ : ভারতীয় বাঙালি গায়ক, সুরকার ও সঙ্গীত শিল্পী শ্যামল মিত্র।
পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বাঙালি সাংবাদিক-সম্পাদক ও লেখক। সাহিত্যসেবী সাংবাদিক হিসেবেও তিনি পরিচিত। জন্মগ্রহণ করেন ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দের ২০ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ভারতের অধুনা বিহার রাজ্যের ভাগলপুরে। বাবা বেণীমাধব বন্দ্যোপাধ্যায় ওই সময়ে ভাগলপুরের কালেক্টরেট অফিসে কর্মরত ছিলেন। তার পৈতৃক নিবাস ছিল অধুনা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হালিশহরে। পাঁচকড়ি ছিলেন বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান।
১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে ভাগলপুর জেলা স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে পাটনা কলেজ থেকে ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বিভাগে এফ..এ এবং ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বিভাগে সংস্কৃতে অনার্সসহ বি.এ পাশ করেন। পরে কাশীতে সংস্কৃত সাহিত্য ও সাংখ্য বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হন। হিন্দি, উর্দু ফারসি ও ইংরেজি ইত্যাদি ভাষাতেও ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন।
১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভাগলপুরের টি. এন. জুবিলি কলেজিয়েট স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এই স্কুলেই বাংলার কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার ছাত্র ছিলেন। কয়েক বছর শিক্ষকতা করার পর ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে সাংবাদিকতা পেশা গ্রহণ করেন। সাংবাদিকতার শুরু হয় ‘বঙ্গবাসী’ পত্রিকায়। পত্রিকার স্বত্বাধিকারী যোগেন্দ্রচন্দ্র বসুর সংস্রবে তিনি আত্মোন্নতির প্রভূত সুযোগ পান। ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দের শেষাশেষি ‘বঙ্গবাসী’র সম্পাদক হন। চার বছর বাদে কংগ্রেস-বিরোধী বঙ্গবাসীর সম্পাদনার পর ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি কংগ্রেস সমর্থনকারী ‘বসুমতী’র সম্পাদক নিযুক্ত হন। পরে মতবিরোধের ফলে অমরেন্দ্র দত্ত প্রবর্তিত ‘রঙ্গালয়’ পত্রে যোগ দেন।
স্বদেশী-আন্দোলনের যুগে তিনি ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়ের ‘সন্ধ্যা’ এবং ‘হিতবাদী’ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘হিতবাদী’র সম্পাদক হন। তিনি আরো কয়েকটি পত্র-পত্রিকা সম্পাদন করতেন সেগুলোর মধ্যে ‘প্রবাহিণী’ ও দৈনিক ‘নায়ক’ এর নাম উল্লেখযোগ্য। সাংবাদিক হিসেবে তার সর্বাধিক প্রসিদ্ধি ‘নায়ক’ পত্রিকার সম্পাদনায়। মূলত কার্টুন প্রকাশের জন্যে প্রভূত জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ‘নায়ক’।
পাঁচকড়ির রচনাবলির মধ্যে রয়েছে- ‘আইন-ই-আকবরী ও আকবরের জীবনী’, ‘শ্রীশ্রী চৈতন্যচরিতামৃত’, ‘উমা’, ‘রূপলহরী’ বা রূপের কথা’, ‘সিপাহীযুদ্ধের ইতিহাস’, ‘বিংশ শতাব্দীর মহাপ্রলয়’, ‘সাধের বউ’, ‘দরিয়া’, ‘সম্রাট ঔরঙ্গাজেব’ ইত্যাদি।
পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের ১৫ নভেম্বর ইন্তেকাল করেন।
সূত্র : সংগৃহীত