২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ প্রভাতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস উপলক্ষে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের সকল শিক্ষক এবং কোয়ান্টারা ‘শহিদ স্মরণে’ ভাষা শহীদদের ও নিজ জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষার প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। বাংলা ভাষার পাশাপাশি চাকমা, মার্মা, ম্রো, বম, রাখাইন, খুমি, সাঁওতাল, গারোসহ বিশ্বের সকল জাতিগোষ্ঠীর ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানায় তারা।
দেশের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর এক অনন্য স্মৃতিসৌধ কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের এই ‘শহিদ স্মরণে’। ১২টি শিমুল গাছের এই স্মৃতিসৌধ স্থাপনের ভাবনার মূলে ছিল—ইট-সিমেন্ট-পাথরের কোনো অবকাঠামো নয়, শহীদদের স্মরণে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে গাছ লাগানো।
কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ২০০৮ সাল থেকে দেশের বীর শহিদদের এখানে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছে। ২০০৮ সালে রোপণ করা ১২টি শিমুল গাছের চারা এখন রীতিমতো বৃক্ষ। এই চত্বরের প্রথম ৫টি শিমুল গাছ ৫ জন ভাষা শহিদদের স্মরণে নামকরণ করা হয়েছে। আর বাকি ৭টি মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠদের স্মরণ করে লাগানো হয়েছে। এই গাছগুলো থেকে মানুষ, পশুপাখি ও প্রকৃতি যত উপকৃত হবে তা এই শহিদদের জন্যে সদকায়ে জারিয়া বা প্রবাহমান দান হিসেবে গণ্য হবে। যেহেতু গাছের যত্ন প্রতিদিন নিতে হয়। তাই শুধু ২১ ফেব্রুয়ারির দিন নয়, কোয়ান্টারা বছরের প্রতিটি দিন গাছগুলো পরিচর্যার মাধ্যমে এই মহান শহিদদের স্মরণ করে।
‘ভাষা ও দেশের জন্যে যারা প্রাণ দিয়েছেন, সেই শহিদরা প্রজন্মের পর প্রজন্মের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে ত্যাগের উদাহরণ হিসেবে। আমরা যেন তাদের আদর্শকে ধারণ করতে পারি।’ এই বিষয়কে সামনে রেখে এদিন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শহিদদের উদ্দেশ্যে দোয়ার অনুষ্ঠানও পরিচালনা করে।