জামাতে নামাজ পড়া একা নামাজ পড়ার চেয়ে ২৭ গুণ বেশি সওয়াবের।
—আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা); বোখারী, মুসলিম
নবীজী (স) হেদায়েতের সঠিক প্রক্রিয়া শিখিয়েছেন। হেদায়েতের একটি প্রক্রিয়া হচ্ছে, মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে নামাজ পড়া।
—আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা); মুসলিম
কোনো জনপদে যদি তিন জন লোকও থাকে এবং তারা যদি সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে নামাজ না পড়ে, তবে শয়তান তাদের ওপর সওয়ার হয়। কাজেই জামাতের সাথে নামাজ পড়া তোমাদের জন্যে অত্যাবশ্যক। দলচ্যুত ভেড়াই নেকড়ের শিকার হয়।
—আবু দারদা (রা); আবু দাউদ
যখন তোমরা কাউকে নিয়মিত মসজিদে আসতে দেখো, তখন তার বিশ্বাসের সাক্ষী হও।
—আবু সাঈদ খুদরী (রা); তিরমিজী
সকাল বা সন্ধ্যায় একজন মানুষ যখন নামাজ পড়ার জন্যে মসজিদে যায়, তখন তার প্রতিটি যাত্রার জন্যে আল্লাহ জান্নাতে মেহমানদারির আয়োজন সম্পন্ন করেন।
—আবু হুরায়রা (রা); বোখারী, মুসলিম
মানুষ যদি জানত—আজান দেয়া ও জামাতে প্রথম কাতারে থাকার মধ্যে কী পরিমাণ নেকি ও মর্যাদা রয়েছে, তাহলে প্রয়োজনে তারা প্রতিযোগিতা করে আজান দেয়া ও জামাতে প্রথম কাতারে থাকা নিশ্চিত করত। আর নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদে আগে আসার নেকি ও মর্যাদা কত তা যদি সে জানত, তাহলে আগে সময়মতো আসার জন্যে তারা প্রতিযোগিতা করত।
—আবু হুরায়রা (রা); বোখারী, মুসলিম
জামাতে নামাজে অংশ নেয়ার জন্যে তুমি যতক্ষণ অপেক্ষা করবে, তোমার অপেক্ষার পুরো সময়টাই তুমি নামাজরত বলে গণ্য হবে।
—সহল আসসাঈদী (রা), আবু হুরায়রা (রা); বোখারী, মুসলিম, নাসাঈ
নামাজের একামত হওয়ার পর জামাতে শামিল হওয়ার জন্যে দৌড়াদৌড়ি কোরো না। শান্তভাবে স্বাভাবিক গতিতে আসো। যতদূর পাও জামাতে আদায় করো। বাকি অংশ একা পড়ো।
—আবু মাসউদ (রা), আবু হুরায়রা (রা); বোখারী, মুসলিম
জামাতে নামাজের একামত দিলে আগের ফরজ নামাজ ছাড়া অন্য কোনো নামাজ পড়া যাবে না।
—আবু হুরায়রা (রা); মুসলিম
নামাজ পড়া ও সফর ছাড়া রাত জেগে গল্প বা আড্ডা দিও না। (কারণ এতে ফজরের নামাজ কাযা হয়ে যেতে পারে)
—জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা); তিরমিজী, মুফরাদ (বোখারী)
তোমরা কেউই ধর্মের ব্যাপারে (বাড়াবাড়ি করে) মানুষকে কষ্ট দিও না—মানুষকে ধর্মবিদ্বেষী করে তুলো না। যখনই তোমরা কেউ ইমামতি করবে, নামাজ সংক্ষিপ্ত করবে। কারণ জামাতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বালক বৃদ্ধ দুর্বল ও জরুরি কাজ ফেলে আসা মানুষও থাকতে পারে। যখন একা নামাজ পড়বে তখন দীর্ঘসময় নিতে পারো।
—আবু হুরায়রা (রা), আবু মাসউদ (রা); বোখারী, মুসলিম
মুনাফেকদের কাছে ফজর ও এশার নামাজ জামাতে পড়া খুবই কষ্টকর বোঝা বলে মনে হয়। যদি তারা এই দুই নামাজ জামাতে পড়ার মাহাত্ম্য বুঝতে পারত, তবে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও জামাতে শামিল হতো।
—আবু হুরায়রা (রা); বোখারী, মুসলিম
যে এশার নামাজ জামাতে পড়ল, সে যেন অর্ধেক রাত নফল নামাজ পড়ল। আর যে ফজরের নামাজও জামাতে পড়ল, সে যেন সারারাত নফল নামাজ পড়ল।
—উসমান ইবনে আফফান (রা); মুসলিম, আহমদ
আল্লাহর কিতাবের জ্ঞান যার রয়েছে, তেলাওয়াত যার সুন্দর, কেরাত যার মধুর, সে-ই নামাজে ইমামতি করবে। যদি এদিক থেকে সবাই সমান হয়, তবে সুন্নাহর জ্ঞান যার বেশি, সে ইমামতি করবে। যদি সুন্নাহর জ্ঞানেও সবাই সমান হয়, তবে হিজরতে যে প্রথম, সে ইমামতি করবে। হিজরতেও যদি সবাই সমান হয়, তবে অপেক্ষাকৃত প্রবীণ যে, সে ইমামতি করবে। কেউ অন্যের অধিকার বা প্রভাবাধীন এলাকায় ইমামতি করবে না।
—আবু মাসউদ (রা); মুসলিম