তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে। আমরা বিশ্বকে এ বার্তা দেয়ার চেষ্টা করেছি যে বাংলাদেশ এখন প্রিমিয়াম পণ্যসহ বিভিন্ন আইটেমের প্রয়োজন মেটাতে নিজেকে যথেষ্ট প্রস্তুত করেছে। আরো সক্ষমতা অর্জন করেছে, যা সমাজ ও পরিবেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব রাখে। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি যে অপ্রচলিত বাজারে অব্যাহত প্রবৃদ্ধি অর্জনের পেছনে বিজিএমইএর বড় ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে বিজিএমইএ বিভিন্ন দেশের ক্রেতা ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক, রোড শো এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে সম্পৃক্ত করার জন্য যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে তার সুফল মিলেছে। এসব প্রচেষ্টা ও উদ্যোগের রেশ ধরে আরো সুযোগ আমাদের সামনে অপেক্ষা করছে। আমি বিশ্বাস করি এ প্রচেষ্টাগুলো আগামী দিনে নতুন ব্যবসার সুযোগ অন্বেষণে ইতিবাচক ফলাফল রাখবে।
বিবৃতিতে ২০২৪ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে পোশাক রফতানির দেশভিত্তিক পারফরম্যান্স তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের প্রথম দুই মাসে বাংলাদেশ থেকে মোট পোশাক রফতানি ৯ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি। তবে অর্থবছরের দিক থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে পোশাক রফতানিতে ৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যার অর্থ হলো উল্লেখিত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৩) রফতানি বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল এবং এ বছরের জানুয়ারি থেকে রফতানির পুনরুদ্ধার শুরু হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘কিছুদিন আমি আপনাদের সঙ্গে আমাদের প্রধান বাজারগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সর্বশেষ হলিডে সেলস বিষয়ে কিছু ডেটা ও বিশ্লেষণ শেয়ার করেছিলাম। যেখানে ২০২৪ সালে বহুল প্রত্যাশিত রিটেইল ব্যবসা ফিরে আসার ইঙ্গিত ছিল। এ বিশ্লেষণে আপনাদের অবগতির জন্য ২০২৪ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির রফতানি পারফরম্যান্স তুলে ধরছি।’
বিবৃতিতে বলা হয়, রফতানির এ সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশের বৃহত্তম পোশাক রফতানি গন্তব্য ইইউতে পোশাক রফতানি ৪ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। যদিও ইইউর মধ্যে বড় বাজার জার্মানিতে কয়েক মাস ধরেই পোশাক রফতানি নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। তবে ফ্রান্স, স্পেন ও ইতালিতে রফতানি ইতিবাচক ধারায় আছে।
এককভাবে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্রেও তৈরি পোশাক রফতানি ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে বলে জানান বিজিএমইএর সভাপতি। তিনি বলেন, ‘গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে দেশটির বাজারে ১৪৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি। একইভাবে কানাডা ও যুক্তরাজ্যে তৈরি পোশাকের রফতানি যথাক্রমে ২৪ দশমিক ১৯ ও ১৮ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে।’
জেমস আহমেদ