সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয়টি হচ্ছে, ফাস্টফুড শিশুর আইকিউ দুর্বল করে দিতে পারে।
বিশেষত বয়স তিন বছর হওয়ার আগে থেকেই যেসব শিশু চিপ্স পিৎজা বিস্কিট বার্গার ইত্যাদি খেতে শুরু করে, তাদের আইকিউ দুর্বল হয়ে পড়ে। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত একটি গবেষণায় এর প্রমাণ পেয়েছেন একদল ব্রিটিশ গবেষক। ২০১০ সালে এ গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় এপিডেমিওলজি এন্ড কমিউনিটি হেলথ জার্নালে।
তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সী চার হাজার স্কটিশ শিশুর ওপর চালানো এ গবেষণার ফলাফলে বিজ্ঞানীরা বলেন, ফাস্টফুড খাওয়ার ফলে শিশুর মস্তিষ্কের ক্ষমতা স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
অন্যদিকে একই বয়সী যেসব শিশুকে ফলমূল ও শাক-সব্জিসহ ঘরে তৈরি তাজা পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হয়, তাদের সঙ্গে ফাস্টফুড খাওয়া শিশুর আইকিউ-র ব্যবধান হতে পারে পাঁচ পয়েন্ট পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, তিন বছর বয়সের আগে যেসব শিশু প্রচুর পরিমাণ ফাস্টফুড খায় পরবর্তীতে তাদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ঘটালেও আইকিউ-র কোনো উন্নতি হয় না।
তারা বলেন, একটি শিশুর জন্যে প্রথম তিন বছর পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় মস্তিষ্ক সবচেয়ে দ্রুত বাড়ে। তাদের মতে, যেসব শিশু ওই বয়সে চর্বি ও চিনিযুক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খায়, তারা প্রয়োজন অনুযায়ী ভিটামিন ও পুষ্টি পায় না।
তাই এ বিষয়ে আমাদের আশু সচেতনতা জরুরি। একটি সুস্থ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যদি আমরা চাই। নিজেরা সচেতন হওয়ার পাশাপাশি এখন সময় এসেছে এ নিয়ে কথা বলার, সোচ্চার হওয়ার এবং ফাস্টফুডের ক্ষতিকর দিকগুলো সবার সামনে দৃঢ়তার সাথে তুলে ধরে সবাইকে সচেতন করার। কারণ, শারীরিকভাবে অসুস্থ একটি উত্তরপ্রজন্মের কাছ থেকে আমরা কখনো সুস্থ ও সমৃদ্ধ জাতি আশা করতে পারি না।