1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫০ অপরাহ্ন

ফেসবুক আসক্তি থেকে কীভাবে মুক্তি পাবেন?

  • সময় সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৬৯৯ বার দেখা হয়েছে

শয়তান শয়তানি সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মের ধারণা নাই…

আমার আসলে খুব মায়া হয় এই নতুন প্রজন্মের জন্যে।

মানে শয়তান তার যত চেলাবেলা আছে সব এখন এই নতুন প্রজন্মের পেছনে লাগিয়েছে।

শয়তান ভাবে যে, বুড়োধুড়ো এদেরকে তো এত তাড়াতাড়ি আর পথে আনা যাবে না। কারণ এদের একটা আইডিয়া হয়ে গেছে আমাদের সম্পর্কে। এরা সচেতন।

তো এই তরুণ প্রজন্ম এরা এখনো শয়তান দেখেন নাই। শয়তানি বোঝে না। শয়তান কী কী ক্ষতি করতে পারে এই সম্পর্কে কোনো ধারণা নাই।

শোষকরা সবসময় চায় খেলতামাশায় মেতে থাকো!

এবং এই যে আসক্তি! আসক্তি জিনিসটাই হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী শোষকদের চক্রান্ত।

শোষকরা সবসময় চায় যে, আপনাকে কিছু না কিছু দিয়ে মত্ত রাখতে। মেতে থাকুন আপনি। সেটা খেলা হতে পারে, খেলতামাশা হতে পারে, সেটা টিভি সিরিয়াল হতে পারে। যেটা খুশি মানে একেক সময় একেকটা। যখন যেদিকে ঝোঁক দেখে।

তারপরে ইন্টারনেট, চ্যাটিং, ভাইবার, অমুক, মোবাইল সবকিছুই।

তো আপনার ফেসবুকও হচ্ছে সেরকম একটি আসক্তি সৃষ্টিকারী জিনিস।

যে-কোনো জিনিসই আপনি যখনই আপনার প্রয়োজনের সীমাটাকে অতিক্রম করবেন তখনই সেটা আসক্তিতে রূপান্তরিত হবে।

ফেসবুকের শুরু কিন্তু কৌত‚হল থেকে। মাদকের শুরু কিন্তু কৌত‚হল থেকে।

সিগারেটের শুরু কী? কৌত‚হল থেকে। বন্ধুবান্ধব বলল, একটা খা। শুরু কিন্তু হয়ে গেল। একটাতে আর শেষ থাকছে না।

আজকেই ফেসবুক একাউন্ট বন্ধ করুন!

আপনি এসএসসি এইচএসসিতে গোল্ডেন এ-প্লাস পেতে চাচ্ছেন।

তাহলে কী করতে হবে?

ফার্স্ট কাজ হচ্ছে, আজকে গিয়ে ফেসবুক একাউন্ট বন্ধ করে দেবেন।

এবং রুটিন করে ফেলেন। বইয়ের প্রতি ভালবাসা সৃষ্টি করেন।

এবং সঙ্ঘের সাথে ফাউন্ডেশনে আসা শুরু করেন। সঙ্ঘে আসা শুরু করেন।

সাদাকায়নে আসেন। আলোকায়নে আসেন।

নতুন সার্কেল করুন সৎসঙ্ঘে!

অনেক সময় মনে হবে যে না, আমি তো পড়ব, এদিকে যাব না।

আসলে পড়বেন না। আপনি তখন কী করবেন? আপনি ফেসবুকে চলে যাবেন।

কারণ আপনি যদি নতুন সার্কেল তৈরি করতে না পারেন অর্থাৎ ফেসবুকের সার্কেল বন্ধ করে আপনাকে নতুন সার্কেল করতে হবে।

কোথায়? ফাউন্ডেশনে সৎকর্মে সৎসঙ্ঘে।

তাহলে আপনি এখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন। কারণ আপনার তো সঙ্ঘ দরকার।

আল্লাহ! এই গজব থেকে মুক্তি দাও- এ নিয়তে দান করুন!

আসলে কেউ বিচ্ছিন্ন থাকতে পারে না। সে যদি বাস্তব মানুষের সঙ্গ না পায় তাহলে সে বায়বীয় সঙ্গে জড়িয়ে পড়বে।

ফ্যামিলিতে সময় দেন। পারিবারিক কাজের সাথে জড়ান। পড়াতে জড়ান এবং ফাউন্ডেশনে নিয়মিত সাদাকায়নে আসেন।

এবং আপনি যেহেতু স্টুডেন্ট। নিয়ত করে দুই টাকা পাঁচ টাকা আপনার টিফিন খরচ থেকে মা-বাবার কাছ থেকে নিয়ে এটা দান করেন।

যে আল্লাহ! আমার তো এটুকু সঙ্গতি আছে। আমি আমার টিফিন থেকে দান করলাম। তুমি এই গজব থেকে আমাকে মুক্তি দাও। আমি গোল্ডেন এ-প্লাস পাই যেন পাই।

সেভাবে পড়াশোনা করেন। আমাদের দোয়া থাকবে।

[প্রজ্ঞা জালালি, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬]

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com