মিডিয়ার কল্যাণে এখন বিয়ে হয়ে গেছে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান নির্ভর।
বিয়ের একটি দিনকে কেন্দ্র করে এনগেইজমেন্ট, মেহেদি সন্ধ্যা, গায়ে হলুদ, ব্রাইডাল শাওয়ার, প্রি-ওয়েডিং ফটোশুট, পোস্ট-ওয়েডিং ফটোশুটের ভিড়ে বিয়ের মূল উদ্দেশ্য কি সেটাই অনেকের কাছে অস্পষ্ট হয়ে গেছে।
বিয়ের পরে নতুন পরিবারের সবাইকে কীভাবে আপন করে নিবেন, কীভাবে নতুন পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিবেন এমন বাস্তব চিন্তা থেকে অনেকটাই যেন দূরে সরে গেছেন বর্তমানের অনেক তরুণ তরুণী।
বিয়েতে ডিজাইনার লেহেঙ্গা পরব বা অমুক মেকআপ আর্টিস্টের কাছে সাজবো, বিয়ের আগে থেকেই এমন স্বপ্নে বিভোর থাকেন অনেক তরুণী। কিন্তু বিয়ের পরে যখন কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হন তখন তা মেনে নেয়া অনেকের জন্যেই খুব কঠিন। তাই বিয়ের আগে থেকেই মানসিক প্রস্তুতি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
অর্থাৎ বিয়ে মানে শুধুই ভালবাসা, রোমান্টিসিজম কিংবা সাজসজ্জা নয়, এটি একটি দায়িত্ব। কিন্তু মিডিয়ার রঙিন জগতের প্রভাবে আমরা এটি ভুলে যাই। ফলে সিনেমা-নাটক টিভি-সিরিয়ালের অবাস্তব জীবনের সাথে আমরা অনেক সময় আমাদের বাস্তব জীবনকে মিলিয়ে ফেলি। ছেলেরা থাকে নায়িকার মতো সুন্দরী জীবনসঙ্গিনী ও মেয়েরা নায়কের মতো সুপুরুষ জীবনসঙ্গীর খোঁজে।
বিয়ের বয়সের ক্ষেত্রে এখন তরুণীরা সাধারণত বিয়ে করছেন পড়াশোনা শেষ করে কর্মজীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন যে বিয়ের অন্যতম মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিবার গঠন ও সন্তান জন্মদান।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০-৩০ বছর বয়সকালটি সন্তান জন্মদানের জন্যে সর্বোত্তম সময়। ৩০ বছরের পরে সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে কোনো কোনো সময়ে নানা জটিলতা দেখা যেতে পারে। তাই ভবিষ্যতে দাম্পত্য জটিলতা এড়ানোর জন্যে বিয়ে করার সময় এই বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত।