কিশোয়ারসহ সেরা ৬ প্রতিযোগীরা ৫ জুলাই মার্টিন বেন এর সোসাইটি সার্ভিস চ্যালেঞ্জে অংশ নেন।
এতে সকলকে অবাক করে দিয়ে সাবিনা নিউটন নামের এক প্রতিযোগীকে বাদ দেয়া হয়। রয়ে যান কিশোয়ার চৌধুরী।
অন্য চার প্রতিযোগীরা হলেন লিন্ডা ডেরিম্পল, পিট ক্যাম্পবেল, জাস্টিন নারায়ণ এবং এলিস পুলব্রুক।
এই লম্বা যাত্রায় কিশোয়ার বাংলাদেশের নানা স্বাদের মজাদার সব ঐতিহ্যবাহী পদ যেমন- মাছের ঝোল, ভর্তা, ফুচকা, চটপটি ইত্যাদি খাইয়ে বিচারকদের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
দর্শকদের অনেকেই মনে করছেন তিনি-ই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান লাভ করবেন। তাকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমে সাড়া পড়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাকে সমর্থন করছেন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিরাসহ অনেক অস্ট্রেলিয়ান।
বিজয়ী হলে অন্যান্য অনেক আকর্ষণীয় পুরস্কারের সাথে তিনি পাবেন প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকা।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ৩৮ বছর বয়সী কিশোয়ার চৌধুরীর ডাক নাম নূপুর। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী কামরুল হোসাইন চৌধুরী তার বাবা। মায়ের নাম লায়লা চৌধুরী, স্বামীর নাম এহতেশাম।
প্রতিযোগিতার সাইটে উল্লেখ রয়েছে, মেলবোর্নে জন্ম ও বেড়ে ওঠা কিশোয়ার মিকায়েল (১১) ও সেরাফিনা (৪) নামে দুই সন্তানের মা। তিনি পুনরায় ২০১৫ সালে মেলবোর্নে ফেরার আগে ৬ বছর বাংলাদেশে ছিলেন তার ব্যবসা দাঁড় করাতে, এর আগে ছিলেন জার্মানিতে।
তার তিনটি মহাদেশে থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ইতিহাসপ্রেমী কিশোয়ার ঘুরে বেড়াতে, কবিতা লিখতে ভালোবাসেন। তিনি প্রিন্টিং ব্যবসার স্বত্ত্বাধিকারী।
সূত্র : মানবজমিন (৬ জুলাই ২০২১)