খুবই সাদাসিধে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস, ‘আমার নতুন গানের ভিডিও বের হয়েছে। গানের শিরোনাম “মানিকে মাগে হিতে”।’ সঙ্গে গানটির লিংক শেয়ার করেছিলেন শ্রীলঙ্কান র্যাপার ইয়োহানি। দিনটি ছিল ২২ মে। পরদিন ফেসবুকে আবার গানটির লিংক শেয়ার করে লেখেন, ‘হোয়াট ডু ইউ থিঙ্ক (আপনার কী মনে হয়)।’ গানের তেমন ভিউ নেই। সপ্তাহখানেক পরেই ৩০ জুন ফেসবুকে লিখলেন, ‘উই রিচ ওয়ান মিলিয়ন ভিউ (আমরা ১০ লাখ ভিউ ছুঁয়েছি)।’
তখনো জানতেন না তাঁর গানটি বিশ্বব্যাপী ভাইরাল হতে যাচ্ছে। তার কিছুদিন পরেই সিদ্ধান্ত নেন গানটি তামিল ও মালয়ালম ভাষায় কাভার করবেন। তার পর থেকে হঠাৎ করেই বাড়তে থাকে ভিউ। একসময় শ্রীলঙ্কার গানের ভিউয়ে রেকর্ড গড়ে। শ্রীলঙ্কার কোনো গান আগে এতবার শোনা হয়নি। আর শুধু শ্রীলঙ্কা
ই–বা বলি কেন, এর মধ্যেই গানটি ভারতের ৫০ ভাইরাল গানের মধ্যে শীর্ষ ৬ নম্বরে উঠে গেছে, ১ নম্বরে উঠে গেলেও অবাক হব না। সেই খবর পেয়ে ইয়োহানি তাঁর ফেসবুকে লেখেন, ‘ভারতে “মানিকে” ভাইরাল হয়েছে জেনে আমি আনন্দে অভিভূত। ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’ তারপরও সিংহলি ভাষার এই গান ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে ভারতীয় উপমহাদেশে। ১ কোটি ভিউ নিয়ে খুশি থাকা মেয়েটির অফিশিয়াল গানের ভিউ এখন ৭ কোটি ৪০ লাখ। আর প্রতিদিনই বাড়ছে এই সংখ্যা।
গানটা শুনে অর্থ কিন্তু কিছুই বুঝবেন না। বোঝার কথাও নয়, সিংহলি তো আমার–আপনার জানা কোনো ভাষা নয়। আর তামিল বা মালয়ালমের মতো সিংহলি সিনেমাও আমাদের এখানে জনপ্রিয় নয় যে দেখে বুঝে ফেলবেন। তারপরও কী এক জাদুতে যেন পুরো গান শুনতে চায় মন। গানটি মূলত প্রেমের গান। এখানে প্রেমিকার রূপের গুণকীর্তন করে তার মান ভাঙানোর চেষ্টা করছে প্রেমিক। ২ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের গানটি বারবার শুনতে ইচ্ছা করে। সংগীতের কোনো ভাষা নেই, দেশ নেই—এটা আবারও প্রমাণ করলেন ২৮ বছর বয়সী গায়িকা।