যদি আল্লাহ তোমাদের সহায়তা করেন, তাহলে কেউ তোমাদের উপর পরাক্রান্ত হতে পারবে না। আর যদি তিনি তোমাদের সাহায্য না করেন, তবে এমন কে আছে, যে তোমাদের সাহায্য করতে পারে? আর আল্লাহর ওপরই মুসলমানগনের ভরসা করা উচিত। সূরা আল ইমরান
মুসলীম ধর্ম মতে মানুষের জীবন একমাত্র মহান আল্লাহর ইচ্ছায় নিয়ন্ত্রিত হয়, সেখানে আলাদা ভাবে ভাগ্যের কোন প্রভাব নেই। তাকেই ভাগ্যবান বলা হয় যিনি মহান আল্লাহর করুনা বা অভিসম্পাত প্রাপ্ত হয়। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলছেন,
আল্লাহ মানুষের জন্য অনুগ্রহের মধ্য থেকে যা খুলে দেন, তা ফেরাবার কেউ নেই এবং তিনি যা বারণ করেন, তা কেউ প্রেরণ করতে পারে না তিনি ব্যতিত। তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
সাফল্য একটি সহজ স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়া যা প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার। আর তা অর্জিত হয় অনেক শ্রমে, ত্যাগে। সাফল্যের পথে রয়েছে অজস্র বাধা, আছে মরীচিকা। পথ চলতে গিয়ে হারিয়ে যেতে পারেন চোরাবালিতে। সফল ও ব্যর্থ মানুষের মাঝে বাহ্যিক বা শারীরিক কাঠামোয় কোনো পার্থক্য নেই। পার্থক্য শুধু জীবনদৃষ্টিতে।
আমাদের কাছে কিছুই পৌঁছবে না, কিন্তু যা আল্লাহ আমাদের জন্য রেখেছেন; তিনি আমাদের কার্যনির্বাহক। আল্লাহর উপরই মুমিনদের ভরসা করা উচিত। সূরা তাওবা
সঠিক জীবনদৃষ্টি মানুষকে সফল করে আর ভ্রান্ত জীবনদৃষ্টি তাকে ব্যর্থ করে। সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সাফল্যের স্বর্ণদুয়ার উন্মোচনের জন্যেই সাফল্যের পঞ্চসূত্র। এ সূত্রগুলো আপনাকে দেখাবে সাফল্যের সরল পথ। সাফল্য আপনার জন্যেই অপেক্ষা করছে।
সাফল্য মানে শুধু অর্থ বিত্ত খ্যাতি প্রতিপত্তি নয়, সাফল্য মানে কল্যাণকর সবকিছু করার বা পাওয়ার ক্ষমতা। প্রতিটি যুক্তিসঙ্গত চাওয়াকে পাওয়ায় রূপান্তরের সামর্থ্যই। এ এক বিরামহীন প্রক্রিয়া।
সাফল্যের ধরন অনেক। মানসিক সাফল্য হলো প্রশান্তি, শারীরিক সাফল্য সুস্বাস্থ্য আর আর্থিক সাফল্য হচ্ছে সচ্ছলতা। আত্মিক সাফল্য হচ্ছে আত্ম উপলব্ধি। অর্থ-বিত্ত, খ্যাতি-সম্মান, প্রভাব-প্রতিপত্তি সাফল্যের একেকটি উপকরণ হলেও সাফল্য মানে অভাববোধের অনুপস্থিতি।
আর যদি আল্লাহ তোমাকে কোন কষ্ট দেন, তবে তিনি ব্যতীত তা অপসারণকারী কেউ নেই। পক্ষান্তরে যদি তোমার মঙ্গল করেন, তবে তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। সূরা আল আন আম
সফল তিনি-ই যিনি আপাত ব্যর্থতার ছাই থেকে গড়ে নিতে পারেন নতুন প্রাসাদ। প্রতিটি অর্জনকেই মনে করেন নতুন শুরুর ভিত্তি। প্রতিটি অর্জন শেষেই শুরু করেন আরো বড় অর্জনের অভিযাত্রা।