আমাদের চারপাশে অনেক মানুষ আছেন যারা রোগগ্রস্ত, সমস্যা আক্রান্ত, ক্লান্ত, দিগভ্রান্ত, অশান্তির জালে বন্দি। তাদের পিপাসা, ক্ষুধা এখন শুধু শান্তির জন্যে, সুস্থতার জন্যে, সমাধানের জন্যে, পরামর্শের জন্যে।
হয়তো মুখে তাদের হাসি আছে কিন্তু মনে অনেক ব্যথা, চাপা কষ্ট, দুঃখ যা হয়তো কোনোদিন মুখ ফুটে বলতে পারেন নি। হয়তো আমাদের একটু সান্ত্বনা, একটা পরামর্শ তাদের জন্যে অনেক বড় পাওয়া হতে পারে।
হয়তো আমাদের কাছে থাকা কণিকার একটা বাক্য, একটা অটোসাজেশন একজন শিক্ষার্থীর পড়ায় মনোযোগ বাড়িয়ে দিতে পারে। হয়তো প্রেম-বিয়ে-পরিবার বইটির একটি প্রশ্নোত্তর আমাদের পরিচিত কোনো দম্পতির জীবনে আবারো সুখশান্তি নিয়ে আসতে পারে।
হয়তো মোবাইলের মেমোরি কার্ডে কাউকে শিথিলায়ন মেডিটেশনটি ভরে দিলে তিনি শারীরিকভাবে অনেকটা সুস্থ অনুভব করতে পারেন। হয়তো কাউকে আল কোরআন বাংলা মর্মবাণী উপহার দিলে কোনো একটি আয়াত, কোনো একটি সূরা তার জীবনকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করতে পারে।
কার ক্ষেত্রে কী উপকার হবে তার সবই প্রভু ভালো জানেন। আমরা শুধু কাজটি করে যেতে চাই, বাণীগুলো পৌঁছে দিতে চাই। কেন? এক হচ্ছে যে, আমাদের কাছেও কেউ না কেউ একসময় এই বাণী নিয়ে এসেছিলেন।
তাই সেই ঋণ শোধের জন্যে আমাদেরও দায়িত্ব হচ্ছে এই বাণী অন্যদের কাছে পৌঁছে দেয়া। দুই, যাদের কারণে আজ আমরা এই আলোর পথ পেয়েছি, তারা প্রত্যেকে সদকায়ে জারিয়ার ভাগীদার হয়েছেন। যতদিন আমরা এই কল্যাণের পথে থাকব, ততদিন পরম করুণাময়ের রহমতও তাদের ওপর বর্ষিত হবে। কারণ, তারাই আমাদেরকে এই পথে এনে কল্যাণের সাথে যুক্ত থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন।
পরবর্তী সাক্ষাতে দেখা যাবে যে, তার সাথে আলাপটা আরো আন্তরিক হচ্ছে। তিনি তার প্রয়োজনের কথা বলছেন। সমাধানের জন্যে সমস্যার কথা তুলে ধরছেন। মনোযোগ দিয়ে শুনে সমাধান হিসেবে মেডিটেশনের উপকারিতা তুলে ধরতে পারি। সাদাকায়নে আসার আমন্ত্রণ জানাতে পারি।
এছাড়া নতুনভাবে শুরু হয়েছে বরকতান কার্যক্রম। কোয়ান্টাম মাটির ব্যাংকে রাখা সঙ্ঘবদ্ধ দানের অর্থ কীভাবে তার কল্যাণ করতে পারে তা-ও সময় সুযোগ বুঝে ধীরেসুস্থে আমরা তাকে বলতে পারি।
আমরা দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণের জন্য কাজ করি । জীবনটা আমাদের সুন্দর হোক এই কামনা করি ।