1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:১০ পূর্বাহ্ন

সি কে ডি এল কতৃক জাতীয় শোক দিবস উৎযাপন

  • সময় সোমবার, ১৬ আগস্ট, ২০২১
  • ১৮৮৬ বার দেখা হয়েছে

যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মজিবুর রহমান

আজ ১৫ই আগষ্ট। জাতীর জন্য এক কলঙ্কময় দিন। জাতীয় শোক দিবস।আজ থেকে ৪৬ বছর আগে ১৯৭৫ সালের এই দিনে একদল বিপদগামী পাক হায়েনাদের প্রেতাত্মা তথা সেনাবাহিনীর একটি চক্রান্তকারী চক্র সপরিবারে হত্যা করে বাঙালী জাতীর জনক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান, বাঙালী জাতীর অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ।

স্বাধীন  বাংলাদেশ গঠনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগকে বাঙালি জাতি কখনই অস্বীকার করতে পারবে না । তারই ধারাবাহিকতায় পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বিটপী গ্রপ এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান, ঢাকা ইপিজেডে অবস্থিত সি কে ডি এল ,পরিবার জাতিয় শোক দিবস পালন করতে আয়োজন করেছে বঙ্গবন্ধুর স্বরনে  শোক র‌্যালি ও আলোচনা সভা

উক্ত  শোক র‌্যালি ও আলোচনা সভায়   উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠান এর,এম ডি,   মিশাল আলী  ,এইচ আর এডমিন ও কমপ্লায়েন্স বিভাগের জি এম ,মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মাহমুদ , এইচ আর এডমিন ও ওডি বিভাগের এ জি এম উজ্জ্বল হায়দার, সহ প্রতিষ্ঠান অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাবৃন্দ|

মিশাল আলী  (এম ডি – সি কে ডি এল ) তার বক্তব্যে বলেন,

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশ পরিচালনায় পরিপূর্ণ জ্ঞান ছিল বলেই স্বাধীনতা পরবর্তী অতি অল্প সময়েই দেশ পুনর্গঠন করতে পেরেছিলেন, আর তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিচক্ষন নেতৃতের মাধ্যমে বাংলাদেশর পোশাক শিল্প কে বিশ্বের দরবারে আরো গ্রহণযোগ্য করে উপস্থাপন করেছেন  এবং অর্থনীতিকে আরও উন্নত করেছেন।

আর প্রধানমন্ত্রীর এই উন্নয়ন কর্মকান্ডে সি কে ডি এল ,পরিবার সর্বদা পাশে থাকবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার অংশীদার হবে

 

জনাব,মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, (এইচ আর এডমিন অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স) তার বক্তব্যে বলেন,

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেননি, একটি সমৃদ্ধশালী জাতি গঠনে শিল্প-কলকারখানা স্থাপনের মাধ্যমে শিল্পায়ন বিকাশে অবদান রেখেছেন। একটি জাতিকে উন্নত সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে শিল্প-কারখানার যে বিকল্প নেই তা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করতে পেরেছিলেন বলেই এ খাত সম্প্রসারণে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন।

দেশ স্বাধীনতার পরে তিনি জোর দিয়েছিলেন দেশের সর্বত্র ছোটো-বড় শিল্প গড়ে তোলা আর সেই সাথে উদ্যোক্তা তৈরি করা ওপর। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দারিদ্র্য বিমোচনের লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যান বঙ্গবন্ধু। শিল্পায়নে ভূমি ব্যবস্থাপনায় আমূল সংস্কার, শিল্প বিকাশে নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা প্রদানসহ, কৃষির আধুনিকায়নে সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণ করেন।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনে শিল্প বিকাশকে অন্যতম খাত হিসেবে গ্রহণ করেন। তাঁর দূরদর্শী চিন্তাভাবনার কারণে আমরা আজ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদায় আর ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জনের পথে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ ও  তার সুদূরপ্রসারী নেতৃত্ব এর মাধ্যমে আজকে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি সম্ভব হয়েছে ।

জনাব, উজ্জ্বল হায়দার জি এম (এইচ আর এডমিন এন্ড ওডি), বঙ্গবন্ধু স্মরণে বলেন,

“ একজন দক্ষ রাস্ত্রনায়ক হিসাবে শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর মৃত্যুর  পূর্বে  সুদূরপ্রসারী চিন্তা ভাবনা থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে অর্থনৈতিক বুনিয়াদ শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর জন্য কৃষি ও শিল্প বিল্পবে ঝাঁপিয়ে পরেন।একটি উন্নত শিল্প-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে তাঁর ছিলো একটি স্বতন্ত্র ভাবনা।

আর সেই ভাবনা থেকেই শিল্প ও শিল্পায়নের জন্য গ্রহণ করেন নানামুখী পরিকল্পনা। বঙ্গবন্ধুর সেই পরিকল্পনার ফলে দেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উন্নীত হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হয়েছে। বাংলাদেশ আজ টেকসই শিল্পায়নের দিকে ধাবিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০৪১ সালে উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জনের পথে অগ্রসরমান। আর বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে পোশাক শিল্প কারখানার গুরুত্ব অনস্বীকার্য ।

বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তার চৌকষ নেতৃত্ব ও বুদ্ধিমত্তার মধ্য দিয়ে পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের অবস্থান ও ভাবমূর্তি বিশ্ব দরবারে আরো উন্নত করেছে, রপ্তানি প্রকৃয়াকরণ অঞ্চল সমূহের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও সঠিকভাবে পরিচালনায়  জননেত্রী শেখ হাসিনার  দুরদর্শী দিকনির্দেশনার অবদান মাইল ফলক হিসাবে কাজ করে ।

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com