সারা বিশ্ব আজ সেলফি জ্বরে আক্রান্ত। উন্মত্ত ষাঁড়ের সঙ্গে, সিংহের সঙ্গে, ছাদের কার্নিশে দাঁড়িয়ে, এগিয়ে আসতে থাকা ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে মানুষ নিজের ছবি তুলছে। এভাবে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে কেন ছবি তুলছে?
নিজের ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে খ্যাতিমান হওয়ার বাসনায়। এমন আসক্তি কি মানসিক বিকৃতির লক্ষণ নয়?
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সেলফি তোলা এবং ধারাবাহিকভাবে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে যাওয়ার এই প্রবণতাকে মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ বলে মনে করছেন। গবেষকদের মতে, বেশি বেশি নিজের ছবি তোলা এবং সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করার এই প্রবণতা একটি মানসিক রোগ। যার নাম ‘সেলফিটিস‘।
সেলফি যেভাবে আত্মকেন্দ্রিকতা ও হতাশা বাড়াচ্ছে ।
ডিআইওয়াই হেলথ একাডেমি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেলফি তোলার সঙ্গে আত্মমগ্নতা বা আত্মমুগ্ধতার সম্পর্ক রয়েছে। নিখুঁত সেলফি তোলার জন্যে বার বার চেষ্টা করতে গিয়ে তা একসময় নেশায় পরিণত হয়। আবার নিজের নিখুঁত ছবিটি তুলতে না পারার ব্যর্থতা অযাচিত হতাশার জন্ম দেয়।
২০১৭ সালে রয়াল সোসাইটি অব পাবলিক হেলথ একটি জরিপ চালায় ১১ থেকে ১৫ বছর বয়স্ক দেড় হাজার কিশোর-কিশোরীর ওপর। সেখানে দেখা যায়, স্ন্যাপচ্যাট এবং ইনস্টাগ্রাম তাদের মনে সবচেয়ে বেশি হীনম্মন্যতা এবং দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করে। ১০ জনের মধ্যে ৭ জন বলেছে, ইনস্টাগ্রামের কারণে তাদের নিজেদের চেহারা নিয়ে মন খারাপ হয়েছে।