1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন

আমাদের দেশে অনেক এতিম রয়েছে। এই এতিম সন্তানদের কে দেখাশোনা করবে?

  • সময় শুক্রবার, ১৩ আগস্ট, ২০২১
  • ১০৯১ বার দেখা হয়েছে

এতিম সন্তানদের দেখাশোনার দায়িত্ব আমাদেরকেই নিতে হবে। আসলে এতিমকে দেখাশোনা যে কত অর্থপূর্ণ, এটি উপলব্ধি করতে পারলে আপনি কখনো এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে চাইবেন না।

বোখারী শরীফের হাদীস হচ্ছে ‘এতিমের কল্যাণে কর্মরত ব্যক্তির মর্যাদা আল্লাহর পথে জেহাদকারীর মর্যাদার সমান’। মুসলিম শরীফের হাদীস হচ্ছে, ‘এতিমের দায়িত্ব গ্রহণকারী জান্নাতে আমার পাশে থাকবে’।

আসলে সাধারণ শিশু-কিশোরের চেয়ে এতিমের বুদ্ধি বেশি, বাস্তবজ্ঞান বেশি, জীবনে প্রতিষ্ঠালাভের তাড়না বেশি। তাকে যদি কিছুটা সহযোগিতা করা যায়, তার পেছনে শ্রম-সময় বিনিয়োগ করা যায়, তাহলে একজন সাধারণ সন্তানের কাছে যে ফল পাওয়া যাবে, একজন এতিমের কাছে পাওয়া যাবে তার চেয়ে অনেক বেশি।

অথবা বলা যায়, সাধারণের পেছনে যদি ১০০% বিনিয়োগ করা হয়, একজন এতিমের পেছনে তার ৩০% বিনিয়োগ করেই একই ফল পাওয়া সম্ভব। কারণ একজন এতিম বোঝে, তাকে নিজের শক্তিতে, নিজের গুণে প্রতিষ্ঠা পেতে হবে।

তার অভিমান, রাগ বা আবদার করার কোনো জায়গা নেই। ফলে কষ্ট এবং পরিশ্রমের মানসিকতা নিয়ে সে বড় হয় এবং এটাই সফল হওয়ার সূত্র।

আর এই এতিমের মাথার ওপর যদি আপনি হাত রাখতে পারেন অর্থাৎ তাকে সহযোগিতা করেন তাহলে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে, স্রষ্টার হাতও আপনার মাথায় থাকবে। আপনার রহমত বরকত সবদিক থেকে আসবে।

আর যাদেরই সন্তান বখে গেছে বা যাচ্ছে, অনেক কিছু করেও লাভ হচ্ছে না, তারা এখন থেকে এ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে, একজন অসহায় এতিমের মাথার ওপর আপনি হাত রাখবেন, তাকে সহযোগিতা করবেন।

আর কোয়ান্টাম মাটির ব্যাংকে দান হতে পারে এতিম সন্তানের সহযোগিতার একটি উত্তম উপায়। এ উছিলায় আপনার সন্তানের জীবনেও শুভ পরিবর্তন আসবে ইনশাল্লাহ। আরো স্পষ্ট করে বলছি, একজন এতিমের দায়িত্ব নিন। জান্নাতে নবীজীর (স) পাশে থাকুন।

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © RMGBDNEWS24.COM