সাভারের আশুলিয়ায় চলমান শ্রমিক আন্দোলনে আজও বন্ধ হয়ে গেলো কয়েকটি তৈরি পোশাক কারখানা। এ নিয়ে বন্ধ কারখানার সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৮ টি।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, বুধবার শ্রমিক আন্দোলনের জের ধরে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ৫৪৮ টি তৈরি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করেন মালিকপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে আরও কয়েকটি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষনা করা হয়। সকালে বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকদের দেখা গেলেও তারা বাড়ি ফিরে যায়। আবার অনেক তৈরি পোশাক কারখানা খোলা রয়েছে। সেগুলোতে শ্রমিকরা সকাল থেকে কাজে যোগ দিয়েছেন। এনিয়ে শিল্পাঅঞ্চলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে কাজ করছে।
এদিকে আজ থেকে আশুলিয়ার সকল কারখানা গুলোতে শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার আহবান জানিয়ে ছিলেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
গতকাল বুধবার সন্ধায় আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় আশুলিয়ায় চলমান শ্রমিক অসন্তোষ ও নৈরাজ্যকারীদের প্রতিহত করতে এক শ্রমিক সমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।
(বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, কিছু উস্কানীদাতা লোকজন শ্রমিকদের উস্কে দিয়ে গার্মেন্টস কারখানা গুলোতে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে যাতে করে মালিকরা চরম ক্ষতির মুখে পড়ে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে তিনি সকল শ্রমিকদের স্ব-স্ব শিল্প প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়ে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন ।
এ সময় শ্রমিক সমাবেশে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একে আজাদ, ঢাকা ১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা.দেওয়ান মো.সালাউদ্দিন বাবু, আল মুসলিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.আব্দুল্লাহ, সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান দেওয়ান মঈনউদ্দিন বিপ্লব, আশুলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর মিয়া বক্তব্য রাখেন।