আমরা জানি যে রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন, প্রতিবেশীকে অভুক্ত রেখে যে পেট পুরে খায় সে মুসলমান নয়, সে বিশ্বাসী নয়।
তাই আমরা যদি নবীজীর আদর্শকে ধারণ করে এই সময়ের বাস্তবতার প্রেক্ষিতে চিন্তা করি যে, করোনায় দুর্দশাগ্রস্ত পরিবারগুলোর, অসহায় ক্ষুধার্ত পরিবারগুলোর কি এই সময়ে ২/৫ কেজি মাংস দরকার?
নাকি লকডাউনের সময়টা বেঁচে থাকতে পারার জন্যে কিছু অর্থ দরকার? ডাল-ভাত খেয়ে হলেও তাদের পরিবারকে কয়েকটা দিন খাওয়ানোর মতো অর্থ দরকার?
আমাদের বিবেকই আমাদের কাছে উত্তরটা পরিষ্কার করে দেবে।
ধরুন অন্য সময় হলে আপনি একটা গরু বা ৭ নাম দিতেন। এর বদলে আপনি এবার ৫ নাম দিলেন। আপনার ২ নামের টাকাটা দুর্দশাগ্রস্ত ও অভাবীদেরকে দিলেন। অথবা ঈদের অন্যান্য খরচ থেকে বাঁচিয়ে আপনি করোনার্তদের দান করলেন।
সে টাকায় হয়তো কয়েকটি পরিবারেরর ২/৩ মাস অভুক্ত কাটাতে হবে না। হয়তো এই করোনায় তারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে যেত, সেখানে আপনার কোরবানির মাধ্যমে তারা আবার স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবার আশ্বাস পেল, লকডাউনের পর কাজে ফিরতে পারল।
সেই সাথে আপনি জানেন যে, দেশে এখন ধেয়ে আসছে বন্যা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দেশের ৩০ ভাগ এলাকা ডুবে যাবে এই বন্যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৯৮ এর বন্যার চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে এর প্রভাব!
সঙ্ঘের মাধ্যমে দানের মূল কারণ হচ্ছে এখানে অনেকে একসাথে একত্র হয়ে অর্থটাকে জমিয়ে সঠিক জায়গায় সঠিক সময়ে পৌঁছে দেয়া যায়।
ধরুন আপনি নিজেই এই লকডাউনে বের হলেন মানুষকে দেবেন বলে। কিন্তু একই পরিবারের ৩ জন তিন পরিবারের সদস্য সেজে আপনার কাছ থেকে ৩ বার টাকা নিল। আপনি বুঝতেও পারলেন না।
আপনার প্রতিবেশীর কাছ থেকেও সে একই অভিনয় করে টাকা নিল। অথচ যে অভুক্ত, সে আপনার দুয়ারে এসে হয়তো চক্ষুলজ্জায় হাত পাততে পারল না। তাকে আপনি দেয়ার সুযোগও পেলেন না।
কিন্তু সঙ্ঘের একটি টিমই আছে যারা পুরো কাজটি একেবারে মাঠে নেমে করে থাকেন।
একই সাথে, সঙ্ঘে অনেকে একসাথে মিলে দিলে অনেক বেশি দেয়া যায়। এবং এর পুরোটার সওয়াবের অধিকারী আপনি হবেন।