বিজ্ঞানী কিংবা ধনকুবের, প্রোগ্রামার কিংবা প্রকৌশলী, ব্যাংকার কিংবা প্রকৌশলী—পৃথিবীর প্রায় সব সফল মানুষের মধ্যে একটাই সহজ মিল, তারা সবাই বই পড়তেন, পড়ছেন এবং ভবিষ্যতে পড়বেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধনকুবেরদেরও এক নম্বর হবি হচ্ছে বইপড়া। আব্রাহাম লিংকন, ওয়ারেন বাফেট, টমাস আলভা এডিসন কিংবা মহাত্মা গান্ধী—সবারই জেগে থাকা সময়ের একটা বড় অংশ ব্যয় করেছেন বই পড়ে।
যে অন্তর্দৃষ্টির জন্য বিল গেটস কম্পিউটারের ভবিষ্যৎ দেখতে পান, জামিলুর রেজা চৌধুরী হয়ে ওঠেন অগ্রগণ্য প্রকৌশলী, আতাউল করিম তৈরি করেন ম্যাগলেভ ট্রেন—সে অন্তর্দৃষ্টির পুরোটাই তৈরি হয় এই বই পড়ার মাধ্যমে। বই পড়া আমাদের যে শক্তি দেয়, সেটি বদলে দিতে পারে এই জগতটাকে। এই জন্যই মাও সে তুং বলে গেছেন—পড়, পড় এবং পড়।
স্কুলে পড়ার সময় থেকে বিল গেটস এর মূল আগ্রহ ছিল তথাকথিত ‘আউটবই’ পড়া। কাজের পাশাপাশি যা কিছু পড়ে ফেলায় অভ্যাস, সেটি পত্রিকা, ম্যাগাজিন কিংবা বই যাই হোক না কেন, বিল গেটসের সামনে একটা নতুন জগৎ উন্মোচিত করে। তার এত সাফল্যের রহস্য কী জানতে চাইলে বিল গেটসের উত্তর একটাই- বই পড়া। প্রচুর বই পড়তে ভালোবাসেন তিনি। আর তাই তার জীবনে সকল উন্নতির পিছে বই পড়া একটি অন্যতম কারণ বলে মনে করেন তিনি। বিল গেটস বলেছেন, “আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। আমার নানা ধরনের স্বপ্নের পেছনে একটা বড় কারণ ছিল বই পড়া। বৈচিত্র্যময় বই পড়ার কারণেই আমি অনেক স্বপ্ন দেখতাম।”
সফল মার্কিন ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট বলেছেন, ‘আমি কেবল অফিসে গিয়ে বসি আর সারাদিন পড়াশোনা করি।’ তিনি রীতিমতো হিসাব-নিকাশ করে বের করেছেন যে তার কাজের দিনগুলোর শতকরা ৮০ ভাগ তিনি ব্যয় করেন পড়াশোনা ও চিন্তাভাবনা করে।