সামাজিক যোগাযোগ ঘটে যেসব সাইটের মধ্য দিয়ে মোটা দাগে তাদেরকেই ‘সোশাল মিডিয়া’ বলা হয়। এর মধ্যে ফেসবুক সবচেয়ে পরিচিত হলেও মাই স্পেস, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম বা স্ন্যাপচ্যাটের মতো সাইটগুলোও অনেকেই ব্যবহার করছে।
সেই সাথে আছে গেমিং সাইট এবং ক্লাব পেঙ্গুইন, সেকেন্ড লাইফ বা সিমের মতো ভার্চুয়াল জগত। আছে ইউটিউব এবং ব্লগ। বিনোদনের জন্যেই হোক, কিংবা যোগাযোগ- এখনকার তরুণরা আসলে এসবের বাইরে যাবার কথা যেন ভাবতেই পারে না!
গত ৫ বছরে এ ব্যবহারের হার এতই বেড়েছে যে, একটা জরিপে দেখা যায়, টিনএজারদের ২২%-ই দিনে ১০ বারেরও বেশি ঢুকছে তাদের পছন্দের সোশাল মিডিয়া সাইটে।
আর দিনে একবার তো বটেই, একের বেশিবারও ঢুকছে এদের অর্ধেকেরও বেশি। শতকরা ৭৫ ভাগ টিনএজারের কাছে এখন স্মার্ট ফোন আছে। আর এটাকে সোশাল মিডিয়ার কাজে ব্যবহার করছে শতকরা ২৫ জন। শতকরা ৫৪ জন ব্যবহার করছে টেক্সট করবার জন্যে আর ২৪ জন ব্যবহার করছে ইন্সট্যান্ট ম্যাসেজিংয়ের জন্যে।
তার মানে এই কিশোর-তরুণদের সামাজিক এবং আবেগিক বিকাশের প্রায় পুরোটাই ঘটছে ইন্টারনেট এবং সেলফোনে বসে।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলছে, বিশ্বে প্রতি তিনজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর একজন শিশু। আর প্রতিদিন ১ লাখ ৭৫ হাজার, অর্থাৎ প্রতি আধ সেকেন্ডে একজন শিশু নতুন করে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হচ্ছে।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ২৫ শতাংশের বয়সই ১০ বছরের কম! আর ফেসবুকসহ সব ধরনের সোশাল মিডিয়ার ৯০% ব্যবহারকারীই বয়স ১৮ থেকে ২৯। গড়ে এদের একেক জনের রয়েছে ২০১ জন করে ফেসবুক ফ্রেন্ড।
বাংলাদেশেও প্রতিনয়ত ইন্টারনেটের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী যার মধ্যে শিশুরাও আছে। বাংলাদেশ টেলি যোগাযোগ কর্তৃপক্ষ বিটিআরসি-র ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের প্রায় ৩.৫% নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে।
আর এ শিশুদের একটা বড় অংশই যুক্ত নানা ধরনের সোশাল মিডিয়া সাইটের সঙ্গে।
আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস – শিশুস্বাস্থ্য নিয়ে যাদের কাজ, তাদের গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এ সংক্রান্ত ভয়াবহ কিছু তথ্য-