ঘটনাবলি
১৮৬৩ : উমাচরণ ভট্টাচার্য মুদ্রিত মাসিক পত্রিকা ‘সচিত্র ভারত সংবাদ’ প্রকাশিত হয়।
১৮৬৬ : শিকাগোতে প্রথম পানির নিচে হাইওয়ে টানেল তৈরির কাজ শুরু হয়।
১৯৭৭ : আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল IFAD প্রতিষ্ঠিত হয়।
জন্ম
১৬৬৭ : জোনাথন সুইফট, বিখ্যাত আইরিশ লেখক।
১৮১৭ : টেওডোর মমজেন, নোবেলজয়ী জার্মান আইনজ্ঞ, ঐতিহাসিক ও পণ্ডিত।
১৮৩৫ : স্যামুয়েল ল্যাঙ্গহোর্ন ক্লিমেন্স (মার্ক টোয়েন নামে বেশি পরিচিত) মার্কিন রম্য লেখক, সাহিত্যিক ও প্রভাষক।
১৮৫৮ : স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি পদার্থ ও জীববিজ্ঞানী।
১৮৮৯ : এডগার ডগলাস আদ্রিয়ান, নোবেলবিজয়ী ইংরেজ শারীরবিজ্ঞানী ও একাডেমিক।
১৯০৩ : রাধারাণী দেবী, বিশ শতকের বাঙালি মহিলা কবি।
১৯০৮ : বুদ্ধদেব বসু, বিশ শতকের বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক।
১৯১৫ : হেনরি টাউব, নোবেলজয়ী কানাডিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান রসায়নবিদ ও একাডেমিক।
মৃত্যু
১৯০০ : আইরিশ প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও কবি অস্কার ওয়াইল্ড।
১৯০৯ : ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক, ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রমেশচন্দ্র দত্ত।
১৯৩৩ : বাঙালি কবি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক।
১৯৩৩ : নারীশিক্ষার পথপ্রদর্শক শিক্ষাবিদ মুরলীধর বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৮৪ : অভিনেত্রী ও সঙ্গীতশিল্পী ইন্দুবালা দেবী।
১৯৯৮ : বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞান লেখক ও বিজ্ঞান কর্মী আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিন।
২০০৯ : বাঙালি সাহিত্যিক আবদুল জব্বার।
২০১৪ : বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী।
২০১৭ : বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।
আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন
আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, লেখক, বিজ্ঞান গবেষক এবং বিজ্ঞানকর্মী ছিলেন। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অসামান্য। তিনি এদেশে বিজ্ঞানকে ছোটদের মধ্যে জনপ্রিয় করার পথিকৃৎ। বাংলাদেশের বিজ্ঞান লেখকদের মধ্যে তিনিই একমাত্র- যিনি ইউনেস্কো কলিঙ্গ পুরস্কার পান।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩০ সালের ১ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ জেলার ফুলবাড়ি গ্রামে। ১৯৪৫ সালে ঢাকার ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় তিনি কলকাতা বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন। তিনি ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে এমএসসি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা বিষয়ে ১৯৬০ সালে এমএ ও ১৯৬২ সালে পিএইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন।
কর্মজীবনের শুরু রাজশাহী কলেজে শিক্ষকতার মধ্যদিয়ে। পরবর্তীতে তিনি শিক্ষক-শিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, জনশিক্ষা পরিচালক (ডিপিআই), বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক কাউন্সিলর, শিক্ষা ও বিজ্ঞান বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি এডিবি-ইউএনডিপি অর্থায়নকৃত মাধ্যমিক বিজ্ঞান শিক্ষা প্রকল্পের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন।
শরফুদ্দিন প্রকাশিত বিজ্ঞান, পরিবেশ ও শিক্ষাবিষয়ক বইয়ের সংখ্যা ২৮টি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিজ্ঞান ও মানুষ, এ যুগের বিজ্ঞান, বিপন্ন পরিবেশ, বিজ্ঞান-জিজ্ঞাসা, সাগরের রহস্যপুরী, মেঘ বৃষ্টি রোদ এবং পরিবেশের সংকট ঘনিয়ে আসছে ইত্যাদি।
বিজ্ঞান শিক্ষা ও সাহিত্য ক্ষেত্রে অবদানের জন্যে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার, একুশে পদক, শিশু একাডেমি পুরস্কার, ইউনেস্কোর কলিঙ্গ পুরস্কার এবং ড. কুদরত-ই-খুদা স্বর্ণপদকসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেন।
কর্মময় জীবনের পাশাপাশি তিনি সাহিত্য সংসদ, প্রগতি লেখক সংঘ, কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলা, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, বিজ্ঞান সংস্কৃতি পরিষদ এবং হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি ইসলামিক একাডেমি অব সায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ফেলো; বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির ফেলো এবং সভাপতি এবং বাংলা একাডেমির সভাপতি ছিলেন।
কর্মময় জীবন শেষে আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন ১৯৯৮ সালের ৩০ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: সংগৃহীত