1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৬ অপরাহ্ন

রাষ্ট্রপ্রধান হয়েও দিয়েছিলেন মানুষের কথা বলার অধিকার এবং সমতা!

  • সময় বুধবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২১
  • ৯০৪ বার দেখা হয়েছে

নবীজীর সময় তিনি যখন রাষ্ট্রপ্রধান, তখনও মানুষের কথা বলার অধিকার কতটা ছিল একটি ঘটনা।

একবার হচ্ছে যে, তিনি জুমার নামাজের খুতবা দিচ্ছেন। এবং আমরা জানি যে আদব ছিল যে, নবীজী (স) যখন কথা বলবেন, তখন আর কেউ কথা বলবে না।

রসুলুল্লাহ (স) খুতবা দিচ্ছেন। একজন দাঁড়িয়ে বলল যে, ইয়া রসুলুল্লাহ! আমার একটি প্রশ্ন আছে– আমার প্রতিবেশীকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। কী কারণে সে আটক আছে, আমি জানতে চাই।

নবীজী খুতবা থেকে বসে পড়লেন। খেয়াল করবেন, রাষ্ট্রপ্রধান ধর্মীয় প্রধান।

উদ্দেশ্য একটাই যে, এই প্রশ্নের জবাব দিতে পারে সে জবাব দিক। অর্থাৎ পুলিশ প্রধান জবাব দিক।

তার দিকে তাকালেন। কয়েক মুহূর্ত চুপ থাকলেন। আবার উঠে দাঁড়ালেন।

সেই লোকটি আবার দাঁড়াল। বলে যে, ইয়া রসুলুল্লাহ! আমি আমার প্রশ্নের উত্তর পাই নাই।

নবীজী (স) আবার বসে পড়লেন। আবার পুলিশ প্রধানের দিকে তাকালেন। একটু চুপ থাকলেন, আবার উঠলেন।

তৃতীয়বার একই প্রশ্ন।

তৃতীয়বার যখন সে আবার প্রশ্ন করল, তখন নবীজী নির্দেশ দিলেন, যাকে আটক করা হয়েছে তাকে ছেড়ে দেয়া হোক।

তার মানে নবীজী বুঝলেন, যে আটক করেছে তার কাছে এই প্রশ্নের কোনো জবাব নাই। যে অভিযোগকারীর অভিযোগ সঠিক, সঠিক না হলে তো সে জবাব দিত। এরপর তিনি খুতবা শেষ করলেন।

অর্থাৎ একজন মানুষের অধিকার সেই যুগে, যে যুগে ধরেন রাজার সামনে কথা বলা তারপরে আবার দ্বিতীয় বার দাঁড়িয়ে কথা বলা। দ্বিতীয় বার না, প্রথমবার দাঁড়ানোর আগেই শরীরের ওপরে মাথা থাকত কিনা সন্দেহ!

আপনার সিজারের সামনে দাঁড়িয়ে কেউ এই কথা জিজ্ঞেস করা অথবা পারস্য সম্রাটের সামনে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করা যে, আমার প্রতিবেশীকে কেন আটক করা হয়েছে? আরে ঐ পর্যন্ত তো যাওয়ারই ক্ষমতা থাকত না।

এবং সমতা কী? যে দাস এবং মালিক কোনো ভেদাভেদ নাই। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছে, পাশাপাশি বসে আলোচনা শুনছে দাস এবং মালিক।

তো এই সাহস এই অধিকার একমাত্র মহামানবের পক্ষে দেয়া সম্ভব।

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com