লাগামহীনভাবে বাড়ছে দেশি-বিদেশি ফলের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি ফলের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। আর বিদেশি ফলের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা পযন্ত। গত দুই মাসে বিদেশি ফলের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে এক দফায় ফলের দাম বেড়েছে। এরপর ডলারের দাম বৃদ্ধি ইস্যুতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ফলের দাম আরেক দফা বেড়েছে।
দাম বৃদ্ধির কারণে এমন অবস্থা হয়েছে, ফলের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। নিত্যপণ্যের বাজার আগে থেকেই চড়া। যার কারণে অধিকাংশ মানুষ দাম শুনে ফল না কিনেই চলে যাচ্ছেন। আবার বিশেষ প্রয়োজনে যারা কেনেন। তারাও অল্প পরিমাণে কিনছেন।
রোববার (২ অক্টোবর) রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিদেশি ফলের মধ্যে সবচেয়ে কম দামি ফল মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা কেজিতে। বাজারে আপেল বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিতে। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজিতে। আপেল কোরবানির ঈদের আগে বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে। অর্থাৎ গত দুই মাসে কেজিপ্রতি আপেলের দাম বেড়েছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা। দ্বিগুণের চেয়েও বেশি।
রাজধানীতে চায়না কমলা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজিতে। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা কেজিতে। আঙ্গুর বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজিতে। বাজারে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে আনার। বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজিতে। এর মধ্যে ছোট আকারের আনার বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজিতে। মাঝারি সাইজের আনার বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজিতে। আর ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ভালো মানের বড় আনার। এছাড়া নাশপাতি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। ভালো মানের ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজিতে।
এ বিষয়ে জানতে চাইল বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ফলের দাম বাড়লে সবাই আমাদের দোষারোপ করেন। আমাদের কি করার আছে এখানে? ডলারের দাম বৃদ্ধি এবং জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ফলের দাম বেড়েছে। ডলারের দাম বাড়ায় শুধু ফল নয়, সব জিনিসের দাম বেড়েছে বলে জানান তিনি।