1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন

স্বেচ্ছা রক্তদানের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে কোয়ান্টাম সুখী শান্তিময় সমাজ গড়ার কাজ করছে

  • সময় মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০২১
  • ৯৩১ বার দেখা হয়েছে

যারা দীর্ঘদিন রক্তদান করছেন, যারা রক্ত নিচ্ছেন, সবার সাথে এ মহৎ উদ্যোগে একাত্ম হতে পারায় আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনাদের রক্তদানের ওপর নির্ভর করে অনেক মানুষ বেঁচে আছেন। এতে মানুষের জন্যে কাজ করার মহৎ অনুভূতি আছে। এটি অত্যন্ত উচ্চমানসম্পন্ন একটি কাজ।

আমি জানি কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন মনোদৈহিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে। আমি কোয়ান্টাম প্রকাশনার বই পড়ে এবং অনুসরণ করে উপকৃত হয়েছি। বিশেষ করে কোয়ান্টামের একটি কথা আমাকে অনুপ্রাণিত করে, সেটি হলো—‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’। আমার কাছে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ যত মানুষ আসেন, আমি চেষ্টা করি তাদের সাথে হেসে কথা বলতে। যাতে তাদের কথাগুলো শুনতে পারি, প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে পারি। দেশকে এগিয়ে নিতে পারি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে।

এই মুহুর্তে আমি বিশ্বাস করি, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমার স্বাস্থ্য। ভালো থাকতে গেলে আমাকে অবশ্যই মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হবে। এটি নিয়ে কাজ করছে কোয়ান্টাম। মেডিটেশন চর্চার মধ্য দিয়ে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সংহত করে চূড়ান্ত সফলতা আমরা অর্জন করতে পারি। সময়ের সাথে সাথে আমাদের শেখার ধরন পরিবর্তিত হচ্ছে। শারীরিকভাবে নিজেকে চাঙ্গা রেখে মানসিকভাবে নিজেদেরকে সংহত রাখার কৌশল শেখায় কোয়ান্টাম। কোয়ান্টাম আমাদের শেখাচ্ছে কীভাবে মনোযোগ বাড়াতে পারি। কীভাবে মানসিক শক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে কঠিন কাজগুলো আমরা সহজে করতে পারি।

৪ নভেম্বর ২০২১ কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব ফরহাদ হোসেন এমপি। রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে তিনি আরো বলেন, স্বেচ্ছা রক্তদানের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে কোয়ান্টাম আসলে সুখী শান্তিময় সমাজ গড়ার কাজ করছে।

স্বেচ্ছা রক্তদাতা হিসেবে অনুভূতি ব্যক্ত করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ইশরাত জাকিয়া সুলতানা। নিয়মিত রক্তগ্রহীতাদের মধ্য থেকে অনুভূতি বর্ণনা করেন থ্যালাসেমিয়া রোগী আশিফা আহসান। আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের পরিচালক মোটিভেশন জনাব এম রেজাউল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন দেশের বিশিষ্ট রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ বি এম ইউনুস।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার আল বোখারী। তিনি বলেন ‘আপনারা সেই মানুষ, যারা মানুষের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন। হাজারো থ্যালাসেমিয়া রোগীর বেঁচে থাকার অবলম্বন মানুষের স্বেচ্ছা রক্তদান’। এসময় নিয়মিত রক্তদাতাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে দেশের রক্তের চাহিদার ঘাটতি মেটানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে ন্যূনতম ১০ বার (সিলভার ডোনার ), ২৫ বার (গোল্ডেন ডোনার) এবং ৫০ বার (প্লাটিনাম ডোনার) হিসেবে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন—এমন প্রায় ৩০০ স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সনদপত্র, বিশেষ আইডি কার্ড, সম্মাননা ক্রেস্ট ও মেডেল প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় আট লাখ ব্যাগ নিরাপদ রক্তের চাহিদা রয়েছে। রক্ত ঘাটতির বিপুল এ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যেই ১৯৯৬ সাল থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কোয়ান্টাম। গত দুই দশকের প্রচেষ্টায় ১৩ লাখের বেশি মানুষের জীবন রক্ষায় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com